এইচ এম জালাল উদ্দীন কাউছার, উখিয়া;

শিশু সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারের উখিয়ায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার মরিচ্চাপালং উচ্চবিদ্যালয়ের হল রুমে এই সভার আয়োজন করে উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আলোচনা সভায় ইসলাম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এই সভা আয়োজনে সহায়তা করেন উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, এনজিও শেড, ফুড ফর দ্য হাঙ্গিরি ও গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা।

হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শপন শর্মা রনির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর কক্সবাজার এসিও’র সিনিয়র ম্যানেজার রোনাল্ড প্রবীর চিসিক, সঞ্চালনা করেন এনজিও শেড-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন স্পেশালিস্ট মোঃ সায়েদুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থার ফিরোজ রহমান। পুরো আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শেড-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবুল কালাম।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সায়েদ মোহাম্মদ আনোয়ার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মাওলানা সাইফুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমরা জানি, একজন শিশুর সুস্থ মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নির্ভর করে নিরাপদ পরিবেশ, সঠিক শিক্ষা এবং সমাজের সহযোগিতাপূর্ণ আচরণের ওপর। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকের সমাজে শিশু নির্যাতন, বাল্যবিয়ে, অপুষ্টি, মানবপাচার ইত্যাদি সমস্যা এখনও বিরাজমান। এসব প্রতিরোধে আমাদের সম্মিলিত ভূমিকা জরুরি।

তারা আরও বলেন, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সমাজের অত্যন্ত প্রভাবশালী অংশ। প্রতিটি ধর্মই শিশুদের প্রতি মমতা, স্নেহ এবং ন্যায়বিচারের শিক্ষা দেয়। তাই এই আলোচনায় ইসলাম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাদের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।

এই সভার মাধ্যমে একটি অনুরোধ রাখতে চাই—আমরা যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হই। মসজিদ, মন্দির, বিহার, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ বা মিডিয়া—যেখানেই থাকি, শিশুর কল্যাণ আমাদের সবার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের ভূমিকা এবং সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।